আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ার উল্লেখযোগ্য দরপতনের শিকার হয়ে সেনকৌ স্প্যান বি লাইনে পৌঁছেছে। এর আগে, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড নিচে কনসলিডেট হয়ে সংশোধনের সম্ভাব্য সমাপ্তির সংকেত দিয়েছিল। এরপর কয়েক দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য স্পষ্ট সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সাথে ট্রেড করেছে, কিন্তু গতকাল, উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ ছাড়াই, এই পেয়ারের তীব্র দরপতন হয়। মজার বিষয় হল, ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ে মূল্যই সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের নিচে নেমে গেছে। আজ, উভয় পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যত মুভমেন্ট এই লাইনগুলো ব্রেক করার উপর নির্ভর করবে।
আমরা বারবার পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছি। যা শেষ পর্যন্ত ঘটেছে, এর জন্য নতুন কোন ব্রিটিশ বা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয়নি। তবে, মার্কিন শ্রমবাজারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল সন্তোষজনক ছিল এবং দেশটির মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলস্বরূপ, প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পাউন্ডের দরপতন এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী ছিল। যদি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়, তাহলে আসন্ন সংবাদ প্রবাহ নির্বিশেষে ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
দুঃখজনকভাবে, গতকালের মুভমেন্টগুলো থেকে মুনাফা করা বেশ কঠিন ছিল। মূল্য 1.2796 লেভেলের কাছাকাছি একটি সেল সিগন্যাল গঠনের কাছাকাছি এসেছিল, কিন্তু কয়েক পয়েন্টের ব্যবধানে তা গঠিত হয়নি। অন্যান্য সব সিগন্যাল 1.2666–1.2719 এরিয়ার মধ্যে গঠিত হয়েছিল, যেখানে দুটি লেভেল এবং দুটি লাইন ছিল। ফলে, এই সিগন্যালগুলোতে কার্যকরভাবে ট্রেড করা বাস্তবসম্মত ছিল না। আজ, যদি মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের নিচে কনসলিডেট করে, তাহলে এই পেয়ারের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা যায়।
সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন প্রতিফলিত করে, প্রায়ই পরস্পরকে অতিক্রম করছে এবং শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 এর লেভেল ব্রেক করেছে এবং পরবর্তীতে ট্রেন্ডলাইনে পৌঁছেছে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা দেখা যাবে, এবং ট্রেন্ডলাইনের নিচে আরও কনসলিডেশনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 400টি বাই কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,900টি সেল কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে৷ ফলস্বরূপ, সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা 2,300 কন্ট্রাক্ট কমেছে।
মৌলিক পটভূমি অনুযায়ী মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্রয়ের সম্ভাবনা নেই। পাউন্ডের মূল্যের ব্যাপক মাত্রায় নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রকৃত সুযোগ রয়েছে। যদিও ট্রেন্ডলাইনটি এইভাবে আরও দরপতন রোধ করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য এটি অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে সেটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দিকে নিয়ে যেতে পারে, ফলে পাউন্ডের মূল্য 1.3500 এর উপরে চলে যেতে পারে। যাইহোক, এই মুহূর্তে কি পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোন মৌলিক ভিত্তি বিদ্যমান রয়েছে?
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে এবং কারেকশন ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে থাকতে পারে। আমরা এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য কোনও মৌলিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না, তবে মাঝে মাঝে প্রযুক্তিগতভাবে কারেকশনের প্রয়োজন হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই কারেকশন করেছে, তাই আমরা আশা করছি যে আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও দরপতন ঘটবে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের আসন্ন বৈঠকগুলো ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এই সম্ভাবনা কম।
১৩ ডিসেম্বরে আমরা ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি: 1.2429–1.2445, 1.2516, 1.2605–1.2620, 1.2691–1.2701, 1.2796–1.2816, 1.2863, 1.2981–1.2987, 1.3050। সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.2666) এবং কিজুন-সেন (1.2728) লাইনগুলোও সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত।
যুক্তরাজ্যে অক্টোবর মাসের শিল্প উৎপাদন এবং জিডিপি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। যেহেতু এটি মাসিক জিডিপি প্রতিবেদন, তাই এটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে না। একইভাবে, শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং এটিরও ব্রিটিশ মুদ্রাকে সমর্থন করার সম্ভাবনা নেই।