আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0488 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। এদিকে যখন MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য দ্বিতীয়বারের মতো 1.0488 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ার ক্রয় করার জন্য পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ দেয় এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 30 পিপস বৃদ্ধি পায়।
আজ সকালের প্রথমার্ধে জার্মানির ট্রেড ব্যালেন্স, ইতালির ভোক্তা মূল্য সূচক এবং ইউরোজোনের শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের আগে বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছে, কারণ শিল্প উৎপাদনের পতন ইউরোজোনের অর্থনীতির দুর্বলতার ইঙ্গিত দিতে পারে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সক্রিয়ভাবে সুদের হার কমাচ্ছে, যার ফলে মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ইউরোর উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে। শিল্প উৎপাদনের পতন এই অঞ্চলটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার আরও একটি সংকেত প্রদান করবে, যা ইউরোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল করবে এবং ইউরো বিক্রির প্রবণতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তাছাড়া, জার্মানির ট্রেড ব্যালেন্স সম্পর্কিত প্রতিবেদনটিও গুরুত্বপূর্ণ। রপ্তানি পণ্যের চাহিদা হ্রাসের কারণে ট্রেড সারপ্লাস হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এই প্রতিবেদনের ফয়ালফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল হয়, তবে এটি ইউরোর দরপতন ঘটাতে পারে এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাপ আরও তীব্র করতে পারে। ইতালির ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করতে পারে, যা ইউরোর বিনিময় হারকে প্রভাবিত করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0515-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0476-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0515 পয়েন্টে গেলে, আমি মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র ইউরোজোনের শক্তিশালী প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ইউরোর দর বৃদ্ধির অনুমান করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0456-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি সম্ভবত এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0476 এবং 1.0515-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0456-এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0409-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন মুহূর্তে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে, তাই যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0476-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0456 এবং 1.0409-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।