empty
 
 
25.03.2025 10:03 AM
২৫ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে এবং এর কোনোটিই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট বা ব্যবসায়িক আবহ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হোম সেলস বা নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, যদিও এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে আজ কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বা ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেই মনে হচ্ছে। আজ ফরেক্স মার্কেটে টেকনিক্যাল ফ্যাক্টর এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের—আদ্রিয়ানা কুগলার এবং জন উইলিয়ামস—এর বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তবে, ফেডের সর্বশেষ বৈঠক মাত্র গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই বৈঠকে জেরোম পাওয়েল পরবর্তী মাসগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তাই কুগলার বা উইলিয়ামসের বক্তব্য থেকে নতুন কিছু সংযোজন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যেকোনো পরিস্থিতিতে, বর্তমানে ফেডের মুদ্রানীতির প্রতি ট্রেডারদের আগ্রহ খুবই সীমিত, কারণ তারা এখনো ট্রাম্প এবং তার বাণিজ্যনীতির দিকে পুরোপুরি মনোযোগ দিচ্ছেন।

উপসংহার:

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের (EUR/USD এবং GBP/USD) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গঠিত নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্য এখন অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে অবস্থান করছে এবং ফেডের বর্তমান অবস্থান ডলারের পুনরুদ্ধারে কিছু সহায়তা করছে — যা পূর্বে অযৌক্তিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছিল। অবশ্য, কেউই জানে না ট্রাম্প কবে নতুন বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ঘোষণা করবেন বা সেই শুল্ক কেমন হবে, তবে এটাও সত্যি যে এই বিষয়টি চিরকাল ডলারের দরপতন ঘটিয়ে যেতে পারবে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.