empty
 
 
বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ

যদি এমন কোন বাজার থাকে যা বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও সফল হয়ে্ছে এবং অন্যরা ব্যর্থ হয়েছে, তাহলে সেটা হচ্ছে মুদ্রা বাজার।

ফরেক্স গত দশকে ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয় ছিল, প্রথমে বহিরাগতদের চর্চা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প এবং পরবর্তীতে মূলধারার ব্যবসায় পরিণত হয়। এর কারন হচ্ছে প্রধান প্রধান মুদ্রাগুলোর চলমান অনিশ্চয়তা এবং মন্দার পর থেকে অন্যান্য ট্রেডিং মার্কেটের ব্যর্থতা।

ফরেক্স বিনিয়োগকারীদের চিরাচরিত শেয়ার ব্যবসার তুলনায় একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে স্বচ্ছতা। শেয়ারের দামের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন কোন তথ্য কোম্পানিগুলো সুবিধাজনক সময় পর্যন্ত গোপন রাখে, কিন্তু মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহনকারীরা অনেক বেশী উন্মুক্ত হয়। এটা একটি শিক্ষা যা কঠিন সাধনার পরে জানা যায়।


বৈশ্বিক মন্দার কারনে অনেক অভিজ্ঞ শেয়ার ব্যবসায়ীরা ঝড়ে পড়েছে, একই সাথে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি এবং আপাতদৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো রাতারাতি সর্বনাশা পরিমান হারিয়ে তাদের মান অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে অথবা পুরোপুরি ঝড়ে পড়েছে। খুচরা বিনিয়গকারীদের অন্তর্ভূক্তির জন্য ফরেক্স হচ্ছে অনেক বন্ধুভাবাপন্ন জায়গা। এটার জন্য মুদ্রার মধ্যে সূক্ষ্ম তারতম্য কম বোঝার প্রয়োজন, এবং একজন বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসায়ী বর্তমান বিষয়াবলি বোঝা ছাড়াও আর অল্প কিছুর উপর ভিত্তি করে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারে। বিশ্বের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ফরেক্সকে আরও বেশী আকর্ষনীয় করে তুলেছে, যেখানে ব্যবসাহিক চুক্তি, জাতীয় বাজেট এবং ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের খবর বিনিয়োগকারীদেরকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে আরও বেশি সুযোগ করে দেয়। যদিও পেশাদারগণ এটা অনুমোদন করবেন যে পেশাদার এবং নতুনদের জন্য ব্যবসা একইরকম সহজ, এ রকম মনোভার নিন্দনীয়। অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, কিছু কিছু মুভমেন্টের সময় প্যাটার্ন এর উত্থান পরিলক্ষিত হয়; ব্যবসায়ীরা লক্ষ করবেন যে ধ্বনিত দেশগুলোর মুদ্রা একটি বিশেষ সাদৃশ্যপূর্ণ ভঙ্গিতে ওঠানামা করে ( যেমন অষ্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ডলার) যা বিনিয়োগকে আরও প্রশস্থ করতে এবং ঝুঁকিকে আরও বৈচিত্রপূর্ণ করতে সুযোগ করে দেয়। এই ধরনের প্যাটার্নগুলো চিনতে পারা খুবই জরুরী, বিশেষ করে জাপান ও নিউজিল্যান্ডের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পরবর্তী ঘটনা, যখন বিভিন্ন মুদ্রার উপর এই ভয়ানক ঘটনার প্র্রভান পড়ে। মুদ্রাগুলোর মধ্যে অনিশ্চয়তা সেগুলোকে ব্যবসাহের জন্য মুখ্য করে তুলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো অর্থনীতির ধীরগতিতে পুনরুদ্ধারের কারনে প্রধান মুদ্রা হিসেবে ইউএস ডলারের ধীর গতিতে হ্রাস পাওয়া এবং এর প্রধান প্রতিযোগী চীন অর্থনীতির দ্রুত অগ্রসর হওয়া বহুল অপেক্ষিত। এর বিপক্ষে ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে পারে যেমন পরিমানগত সহজ করনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি । এর ফলে দক্ষ বিনিয়োগকারীগণ স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন এ কথা স্মরন রেখে যে কোন মুদ্রার উপর দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে ক্ষতি হতে পারে তাই মার্কেট ঝুঁকি নিতে নারাজ। যাহোক, কিছু বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত যথা সময়ে কাজ করা এবং ভাগ্যের সাথে সম্পর্কিত। বর্তমানে ইউরো এর ওঠানামার পূর্বাভাস পাওয়া জন্য গ্রীসের অর্থনীতির উপর আন্তরিকভাবে মনোযোগ দিতে হবে। এসব স্পষ্টত বাজার অবসাদকারী থাকা সত্ত্বেও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ফ্রান্স কিংবা জার্মানির কার্য়কলাপের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফলাফল হচ্ছে ইউরো ট্রেডিং যা ঘন্টায় একমাইল বেগে ছোটে এবং যাকে অনিশ্চিত নামকরন করাই সবচেয়ে ভাল। যেহেতু এই শিল্পে প্রচুর কোম্পানি যোগদান করছে, মোবাইল ইন্টারনেটের বিস্তারের কারনে ফরেক্স মার্কেটে ব্যবসা করার চমৎকার সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত থাকবে।


ইউরোপিয়ান সিইও ম্যাগেজিন, আগস্ট-সেপ্টেমবর ২০১১র্
পিছনে

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.